শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন
Menu

এবার জাতীয় ফুটবল দলে নতুন ও পুরাতনরা একসংঙ্গে খেলবে

  নিজস্ব প্রতিবেদক

  প্রকাশ :  March 16, 20223:36 pm

গত ফেব্রুয়ারি প্রিমিয়ার লিগ মাঠে গড়িয়েছিলসেই থেকে জাতীয় দলের স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা মাঠে মাঠে গিয়েছিলেনক্লাবে ক্লাবে গিয়ে খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলেছেনকোচদের সঙ্গেও কথা বলেছেনলিগ শুরু হওয়ার পর খেলা দেখতে মাঠে ছুটে গিয়েছিলেন স্প্যানিশ কোচপ্রায় দেড় মাস ছুটোছুটির পর মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) ২৩ জনের একটা তালিকা ঘোষণা করেছে বাফুফে

ঘোষিত ২৩ জন নিয়ে মালদ্বীপ যাবেন ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলতে। ফিফার টায়াল ওয়ানের ম্যাচ খেলতে যাওয়ার আগে আগামী ১৯ মার্চ বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তিন দিনের অনুশীলন ক্যাম্প হবে।

স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের দেড় মাস ঘুরে নতুন ফুটবলার নিয়েছেন দুজন। পুলিশের ডিফেন্ডার ফয়সাল এবং সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের মিডফিল্ডার মেহরাজ হোসেন অপি। অনেকেই আবার জাতীয় দলে ফিরেছেন। স্প্যানিশ কোচের নজর কেড়েছেন জাতীয় দল হতে বাদ পড়া ডিফেন্ডার রায়হান হাসান, ইনজুরিতে থাকা স্ট্রাইকার নাবীব নেওয়াজ জীবন। তিনিও ফিরলেন দুই বছর পর। ছয় বছর পর আবার জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন ডিফেন্ডার নাসিরুল ইসলাম নাসির। মাসুক মিয়া জনি ইনজুরির কারণে জাতীয় দলে ছিলেন না। তিনি ফিরলেন আট মাস পর।

কেমন হলো জাতীয় দল? এমন প্রশ্ন ছিল শেষ বার দায়িত্ব পালনকরা আবাহনীর পতু‌র্গিজ কোচ মারিও লেমসকে। তিনি বললেন, ভালো হয়েছে। ওনি (হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা) ওনার মতো করে খেলোয়াড় নিয়েছেন, দুই মাস খেলোয়াড়দের দেখেছেন। আমার কাছে মনে হয়, ওনি সঠিক খেলোয়াড়দের পছন্দ করেছেন। ক্লাবে গিয়েছেন, আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। হ্যাভিয়ের যেভাবে দলটাকে সাজাতে চেয়ছেন সেভাবেই খেলোয়াড় নিয়েছেন। কারণ, আপনি দেখে থাকবেন যে, ম্যাচ খেলতে কী ধরনের শক্তির প্রয়োজন।’

বাংলাদেশ ফুটবল দল আগামী ২৪ মার্চ মালদ্বীপে এবং ফিফার দ্বিতীয় ম্যাচ ২৯ মার্চ সিলেটে অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় দলের মূল খেলা জুনে মালয়েশিয়ায়, এশিয়ান কাপের বাছাই। সেখানে বাহরাইন, তুর্কমিনিস্তান এবং মালয়েশিয়ার বিপক্ষে খেলতে হবে। বাংলাদেশের কোচ সেই লক্ষ্য সামনে রেখে এখন থেকে দল গড়ছেন বলে মনে করছেন আবাহনীর কোচ মারিও লেমস। মোহামেডানের একজন ফুটবলার ডাক পেয়েছেন, তিনি জাফর ইকবাল।

একনজরে যারা ডাক পেয়েছেন

গোলকিপার: আনিসুর রহমান জিকো, আশরাফুল ইসলাম রানা ও শহিদুল আলম সোহেল।

ডিফেন্ডার: ইয়াসিন আরাফাত, বিশ্বনাথ ঘোষ, রিমন হোসেন, টুটুল হোসেন বাদশা, নাসিরুল ইসলাম নাসির. রায়হান হাসান ও ফয়সাল।

মিডফিল্ডার: তারিক রায়হান কাজী, আতিকুর রহমান ফাহাদ, বিপলু আহমেদ, মাসুক মিয়া জনি, ইব্রাহিম, জুয়েল রানা, সোহেল রানা, রাকিব হোসেন, জামাল ভূঁইয়া ও মেহরাজ হোসেন অপি।

ফরোয়ার্ড: সুমন রেজা, জীবন ও জাফর ইকবাল