ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল শিক্ষিকার লাশ
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছিল ঝর্ণা কুর্মী নামের এক শিক্ষিকার লাশ। খবর পেয়ে শুক্রবার দুপুরে শহরের সুরভীপাড়া এলাকা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঝর্ণা কুর্মী উপজেলার চাতল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক। ঝর্ণা তাঁর স্বামী–সন্তান নিয়ে শহরের সুরভীপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঝর্ণার স্বামী সঞ্জয়কে শ্রীমঙ্গল থানায় নেওয়া হয়েছে। ঝর্ণার স্বামী সঞ্জয় বলেন, ‘সকালে আমি বাসা থেকে বের হই। দুপুরে বাসা থেকে খবর পাই আমার স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়েছে। আমি দ্রুত বাসায় গিয়ে দেখি ফ্যানের সঙ্গে তার লাশ ঝুলছে। আমার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে। তাকে হত্যা করার মতো কেউ ছিল না।’ এদিকে ঝর্ণাকে হত্যা করে ফ্যানে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করে ঝর্ণার কাকা নারায়ণ কুর্মী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বিয়ের ১০ বছর পর একটি সন্তান হয়েছে। সেই সন্তানের একটি পারিবারিক অনুষ্ঠান গতকাল বৃহস্পতিবার আমাদের বাড়িতে ছিল। সবাই গেলেও ঝর্ণাকে তার স্বামী সেখানে যেতে দেয়নি। আমার ভাতিজি ঝর্ণাকে তারা হত্যা করেছে। হত্যা করে সেটা ধামাচাপা দিতেই আত্মহত্যার মতো করে ফ্যানে ঝুলিয়ে রেখেছে তার স্বামীর বাড়ির লোক। ঝর্ণার স্বামী ও শাশুড়ি প্রায়ই ঝর্ণার সঙ্গে ঝগড়াঝাটি করত। আমরা ঘটনার খবর পেয়ে আসার পর ঝর্ণার ছোট মেয়ে শ্রীজিতা কুর্মীকে (৪) খুঁজে পাচ্ছি না। হত্যার সময় তারা মেয়েকে সরিয়ে রেখেছিল বলে আমরা মনে করি। আমরা এই বিষয়ে থানায় হত্যার মামলা করব।’ এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা মরদেহ উদ্ধার করেছি। ঝর্ণার স্বামী সঞ্জয়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে এসেছি। এখন প্রাথমিকভাবে আমরা আত্মহত্যা মনে করছি। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে না। প্রতিবেদন এলে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা, সেটা জানা যাবে।’
উল্লেখ্য, ছয় বছর আগে হবিগঞ্জের জগদ্বীশপুর চা–বাগানের কেশব কুর্মীর মেয়ে ঝর্ণা কুর্মী ও শ্রীমঙ্গলের সোনাছড়া চা–বাগানের শ্রীধনী কুর্মীর ছেলে সঞ্জয় কুর্মীর বিয়ে হয়।