ইউক্রেনকে ১০০টি ‘কিলার ড্রোন’ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
রুশ আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেনকে অস্ত্রসহায়তা দেওয়া অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই সহায়তার অংশ হিসেবে এবার কিয়েভকে ১০০টি ‘কিলার ড্রোন’ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। বিবিসি অনলাইনের লাইভে এ তথ্য জানানো হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন সামরিক বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, ইউক্রেনকে ‘সুইচব্লেড-৩০০’ নামে পরিচিত অস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে জো বাইডেন প্রশাসন। সেনাদের ব্যাকপ্যাকে বহন উপযোগী এই ড্রোন মার্কিন সেনাদের কাছে ‘কামিকাজ’ বা ‘কিলার’ ড্রোন হিসেবে পরিচিত। মার্কিন কংগ্রেসের কর্মকর্তারা এনবিসি নিউজকে বলেন, শত্রুপক্ষের সেনাদের ওপর নিখুঁতভাবে হামলা চালানোর উপযোগী করে এই অস্ত্র তৈরি করা হয়েছে। অস্ত্রটি দিয়ে কয়েক মাইল দূর থেকে নির্ভুলভাবে হামলা চালানো যায়।
বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, এই অস্ত্র রাশিয়ার নকশা করা। ইউরোপের কয়েকটি ন্যাটো সদস্যের কাছে এই অস্ত্র রয়েছে। ফলে এই অস্ত্র সহজেই ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করা সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে আরও ১০০ কোটি ডলারের অস্ত্র পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন এ ঘোষণা দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবার ভার্চ্যুয়ালি মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আরও সাহায্য চান। তারপরই বাইডেনের কাছ থেকে কিয়েভকে আরও ১০০ কোটি ডলারের অস্ত্র পাঠানোর বিষয়ে ঘোষণা আসে।
ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্র যেসব অস্ত্র পাঠাচ্ছে, তার মধ্যে রয়েছে—জ্যাভলিন ক্ষেপণাস্ত্র ২ হাজার, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্টিংগার ৮০০টি, দুই কোটি রাউন্ড গোলাবারুদ, সাঁজোয়া যানবিধ্বংসী অস্ত্রব্যবস্থা ৯ হাজার। এ ছাড়া রয়েছে ড্রোন, রাইফেল, পিস্তল, মেশিনগান, শটগান, রকেট, গ্রেনেড লাঞ্চার।
বাইডেন বলেন, ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্র যে প্রতিরক্ষা–সহায়তা দিয়ে আসছে, তার অংশ হিসেবে এসব অস্ত্র পাঠানো হচ্ছে।
বাইডেন আরও বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যাতে কখনোই ইউক্রেনে বিজয়ী হতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতেই দেশটিতে অস্ত্রসহায়তা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।