বলিউড অভিনেত্রী জিনাত আমান বলেন,শুরু থেকেই লাইট ক্যামেরা, অ্যাকশনের জগতে তিনি পেয়েছেন সাফল্য। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন ছিল রূপালী পর্দার গল্পের মতো।
সবাইকে খুশি করার জন্য, জিন্নাহ তার বিবাহিত জীবনে সবচেয়ে অসুখী ছিলেন। দীর্ঘ ১২ বছরে একটি দিনও সুখ পাননি এই অভিনেত্রী। আজও সেই আক্ষেপ জিনাত আমানের। “আমি শেষ পর্যন্ত কোন আলো ছাড়া একটি টানেলে আটকে ছিলাম,” তিনি বলেছিলেন।
সিমি গারেওয়ালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জিন্নাহ একথা বলেন। ‘দম মারো দম গার্ল’ মাজহার খানের সঙ্গে তার বৈবাহিক অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন।
জিনাত বলেন, ‘মজহর কখনও আমাকে আলাদা একজন মানুষ বা অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে দেয়নি। ও চাইত, সব সময়ে বাড়িতে থেকে সন্তান প্রতিপালন করি।’
বিয়ের এক বছর পর থেকেই জিনত বুঝতে পারেন, ভুল করে ফেলেছেন জীবনের অঙ্কে। তবু সেই দাম্পত্য থেকে বেরিয়ে যেতে চাননি লাস্যময়ী অভিনেত্রী।
সেই লোকের সঙ্গে আরও ১২ বছর সংসার করেছেন নায়িকা। জিনাতের কথায়,১২ বছরে এমন একটি দিনও মনে নেই যেদিন আমি সুখে কাটিয়েছি।
জিনাত ১৯৯৭ সালে মাজহারকে তালাক দেন। যাইহোক, একসময় পর্দা কাঁপানো ভ্যাম্প-নায়িকা তার সন্তানদের নিজের থেকে আলাদা করেননি।
১৯৭০ সালে, জিন্নাহ মিস ইন্ডিয়া সুন্দরী প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানার আপ হন। একই বছর তিনি মিস এশিয়া প্যাসিফিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে শিরোপা জিতেছিলেন। তিনি দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নারী হিসেবে শিরোপা জিতেছেন।