শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন
Menu

হজ ফ্লাইট ৩১ মে থেকে শুরু করতে প্রস্তুত বিমান

  নিজস্ব প্রতিবেদক

  প্রকাশ :  May 24, 20224:24 am

সৌদি কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেলে ৩১ মে হজ ফ্লাইট চালু হবে বলে জানিয়েছেন বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। তিনি জানান, এজন্য যেসব প্রস্তুতি প্রয়োজন তার সবকিছুই রয়েছে বিমানের। সোমবার দুপুরে, রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। হজ ফ্লাইট শুরুর ঘোষিত সময়সীমার আর মাত্র সাত দিন বাকি। কিন্তু এখনও নিশ্চিত নয় ৩১ মে তা শুরু করা যাবে কিনা। কারন সৌদি কর্তৃপক্ষের অনুমতি এখনো পাওয়া যায়নি। হজ ফ্লাইটের ব্যবস্থাপনা ও বিমানবন্দরের প্রস্তুতি সরেজমিন দেখতে যান বিমান প্রতিমন্ত্রী। পরে সাংবাদিকদের জানান, ফ্লাইট পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ বিমান প্রস্তুতি শেষ করেছে। এম মাহবুব আলী বলেন, হজ ফ্লাইটের জন্য বিমান প্রস্তুত। তবে হজ ফ্লাইটের কারণে যেসব রুট কম লাভজনক সে সব রুটে তথা অন্যান্য গন্তব্যের শিডিউল ফ্লাইট কমানো হবে। একই সঙ্গে ৩১ মে থেকে হজ ফ্লাইটের জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ও প্রস্তুত রয়েছে। কিন্তু একটি সমস্যা রয়েছে। হজে যারা যাবেন তাদের বাড়ি ভাড়া এবং মোয়াল্লেম নির্ধারণসহ আনুষঙ্গিক কাজগুলো এখনো শেষ করতে পারেনি সৌদি কর্তৃপক্ষ। তবে আমাদের বিশ্বাস নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করবে সৌদি আরব। আমরা ৩১মে হজ ফ্লাইট চালুর জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, নির্ধারিত সময়ে হজ ফ্লাইট চালু নিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়েছে। তারাও প্রায় সব প্রস্তুতি নিয়েছেন। আমরা নিজেদের বিমান দিয়ে হজ ফ্লাইট পরিচালনা করব। বাইরে থেকে লিজ নিয়ে যে বিমান আনার কথা ছিল সেটি বাতিল করা হয়েছে। বিমানের বহরে ২১টি এর মধ্যে চারটি বোয়িং-৭৭৭ রয়েছে। ২০১৯ সালে এই চারটি দিয়ে হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছিল। এ বছরও সেটি করা হবে। এতে বিমানের অন্যান্য গন্তব্যের শিডিউল ফ্লাইট এর ফ্রিকোয়েন্সি আমরা কমিয়ে দেব। কম গুরুত্বপূর্ণ ও কম লাভজনক রুটের ফ্রিকোয়েন্সি কমানো হবে। এটি দুই মাসের বিষয়। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ফ্লাইটের ক্ষেত্রে ফ্রিকোয়েন্সিং কমানো হবে না। আমাদের বাংলাদেশিরা যে সব দেশে রয়েছেন তাদের যাতায়াতে কোনো সমস্যা হবে না। তিনি বলেন, বিমানবন্দরের সার্বিক ব্যবস্থাপনা আগের চেয়ে অনেক ভালো। কিন্তু শুল্ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যাত্রী হয়রানি অভিযোগ আসে যা কমাতে নির্দেশনাও দেন বিমান প্রতিমন্ত্রী।