সৌদি-ইরান সংলাপ নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলো চীন

সম্প্রতি সৌদি আরব এবং ইরানের মধ্যে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত সংলাপ আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। শনিবার (১১ মার্চ) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সংলাপের পটভূমি, বিস্তারিত অবস্থা এবং সাফল্য তুলে ধরেছে। এসময় ভবিষ্যতে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বেগবানে চীনের ভূমিকাও তুলে ধরে বেইজিং। চীনা সরকারি সংবাদমাধ্যম সিআরআই জানায়, সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে সুপ্রতিবেশী সুলভ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়নে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর ইতিবাচক উদ্যোগের প্রতিক্রিয়ায় গত ৬ থেকে ১০ মার্চ এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। তাতে সৌদি আরবের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মুসায়েদ বিন মোহাম্মদ আল-আইবান এবং ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সচিব আলি শামখানি দুই দেশের প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দেন। চীনা কমিউনিস্ট পার্টি বা সিপিসি’র কেন্দ্রীয় কমিটির রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য এবং কেন্দ্রীয় কমিটির বিদেশ-বিষয়ক অফিসের পরিচালক ওয়াং ই সৌদি আরব এবং ইরানের সাথে আলোচনা এবং সংলাপের উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সংলাপে চীন, সৌদি আরব এবং ইরান একটি চুক্তিতে পৌঁছায় এবং শেষে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে। উভয় পক্ষ জাতিসংঘ সনদের উদ্দেশ্য ও নীতিগুলো মেনে চলা, আলোচনা ও কূটনৈতিক উপায়ে উভয় পক্ষের মধ্যকার মতপার্থক্য নিরসন, সকল দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান এবং অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। চীন জানিয়েছে, সৌদি আরব ও ইরান যোগাযোগ ও সংলাপ জোরদার করবে এবং এ ব্যাপারে ইতিবাচক ও গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে ইচ্ছুক বেইজিং। এদিকে ইরানি সংবাদ সংস্থা ইরিনা এক প্রতিবেদনে জানায়, ফলপ্রসূ আলোচনার পর ইরান এবং সৌদি আরব আবার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন ও ২ মাসের মধ্যে দূতাবাস চালু করতে রাজি হয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালে তেহরান ও রিয়াদ কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে। কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে অতীতে বেশ কয়েক দফা উভয় দেশের কর্মকর্তারা আলোচনা চালিয়ে আসছিলেন।