মঙ্গলবার, ০৬ Jun ২০২৩, ০৬:০২ পূর্বাহ্ন
Menu

সিলগালা করা অবৈধ ক্লিনিকে অপারেশন, কিশোরীর মৃত্যু

  নিজস্ব প্রতিবেদক

  প্রকাশ :  June 6, 20224:40 am

মাগুরার শালিখা উপজেলার আড়পাড়ায় সিলগালা করে দেয়া একটি অবৈধ ক্লিনিকে নার্সের অপারেশনে নির্জনা খাতুন (১৩) নামে এক কিশোরীর মৃত্যুর অভিযোগ করেছেন তার স্বজনরা। নিহত নির্জনা শালিখার পুকুরিয়া গ্রামের নাজমুল মোল্যার মেয়ে। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী। রবিবার সকালে সিলগালা করা ক্লিনিকে অভিযুক্ত ক্লিনিক মালিক বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী মাগুরা সদর হাসপাতালের স্টাফ নার্স করিমুন্নেছাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাচ্চু মিয়া পালিয়ে গেছে। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে চালিয়ে আসা আল হেরা প্রাইভেট হাসপাতাল নামে ক্লিনিকটি গত ২৯ মে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেন মাগুরার সিভিল সার্জন ডা. শহীদুল্লাহ দেওয়ান। কিন্তু এ নির্দেশ অমান্য করে করিমুন্নেছা ও তার স্বামী বাচ্চু মিয়া গোপনে ওই ক্লিনিকে রোগী ভর্তি ও চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এক পর্যায়ে রবিবার সকালে বাচ্চু মিয়া ও তার স্ত্রী করিমুন্নেসা অবৈধভাবে ঐ কিশোরীকে এপেন্ডিসাইডের অপারেশন করলে মেয়েটি মারা যায়। নিহতের চাচা ডাবলু মোল্যা অভিযোগ করেন, ৪ জুন শনিবার পেটে ব্যথা নিয়ে নির্জনাকে সেখানে ভর্তি করা হয়। ৫ জুন রবিবার সকাল ৭টার দিকে তার এপেন্ডিসাইড অপারেশন করেন নার্স করিমুন্নেছা ও বাচ্চু মিয়া। এর কিছুক্ষণ পরই মেয়েটি প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় তাকে দ্রুত যশোরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গেলে সকাল ১০টার দিকে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি নার্স করিমুন্নেছা ও বাচ্চু মিয়ার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। এ ঘটনা জানতে পেরে দুপুরে সিভিল সার্জন ডা. শহীদুল্লাহ দেওয়ান, শালিখা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ইনচার্জ ডা. আবজাল হোসেন ও শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিশারুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে নার্স করিমুন্নেছাকে গ্রেফতার করে। তবে গ্রেফতারকৃত নার্স নিজেকে নির্দোষ দাবী করে যশোর থেকে আসা একজন চিকিৎসক মেয়েটির অপারেশন করেন এবং তিনি তাকে সহায়তা করেন বলে দাবি করেছেন। কিন্তু তিনি যশোরের ঐ চিকিৎসকের নাম ঠিকানা কিছুই বলতে পারেননি। মাগুরার সিভিল সার্জন ডা. শহিদুল্লাহ দেওয়ান জানান, করিমুন্নেছা নিজে যদি অপারেশন করে থাকেন সেটা অপরাধ। আবার একজন সরকারি কর্মচারি হয়ে যদি কোনো ডাক্তারকে প্রাইভেট ক্লিনিকে সহায়তা করেন সেটিও অপরাধ। আমরা তার বক্তব্য খতিয়ে দেখছি। শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিশারুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত নার্স কারিমুন্নেছাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। বাচ্চু মিয়াকে আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।