রমজানকে কেন্দ্র করে বেড়েছে শশা, বেগুন, লেবুসহ বেশ কয়েকটি সবজির দাম। চাহিদা বুঝে প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে যাওয়া এসব সবজিতে কৃষকের লাভের অংশ খুবই সামান্য। কৃষকের মাঠ থেকে ক্রেতার রান্না ঘরে পৌঁছানো পর্যন্ত অন্তত চার ধাপে দাম বাড়ে সবজির। মধ্যসত্ত্বভোগী বা ফরিয়া নামের একটি অদৃশ্য চক্রের হাতেই জিম্মি সবজির বাজার। বেগুন, শাশা, লেবুর দ্বিগুণ দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের হতাশা প্রায় প্রতি রমজানের গল্প। বাজারে যোগানের ঘাটতি নেই অথচ রুটিন করে দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ জানা নেই বিক্রেতাদের। চাহিদার সঙ্গে পণ্যের দাম বাড়ে যদি যোগানে ঘাটতি থাকে। জানা গেলো, এ বছর বেগুনের ফলন ভালো, নতুন মৌসুম শুরু হওয়া শশার উৎপাদনও কম নয়। তবে এটি লেবুর মৌসুম নয়, তাই কিছুটা সঙ্কট আছে। রমজানকে কেন্দ্র করে বেড়ে যাওয়া সবজির লাভের ভাগ কিছুটা অংশ পেয়েছে কৃষকও। এই যেমন দুদিন আগেও আড়তে শশা বিক্রি হয়েছে ২২ থেকে ২৫ টাকায়। রমজানের বাজারকে কেন্দ্র করে এটি ৪৫ থেকে ৪৭ টাকা। আর সাদা বেগুন কৃষক পর্যায় ছুঁয়েছে ৫০ টাকা। যদিও লাল লম্বা বেগুন ৩০ থেকে ৪০টাকা। রমজানের প্রথমদিন কৃষক ও পাইকারদের বেচাকেনায় জমজমাট ছিলো মানিকগঞ্জের জাগীর বন্দর সবজির আড়ত। সরবরাহ ভালো থাকলেও বেশিরভাগ সবজির দামে আগুন। তিন দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি সবজিতে পাইকারি দর বেড়েছে ২৬ টাকা পর্যন্ত। ৩০ টাকার বেগুন ২০ টাকা বেড়ে বিক্রয় হচ্ছে ৫০ টাকায়। ২৪ টাকা কেজির শসা ২৬ টাকা বেড়ে বিক্রয় হচ্ছে ৪৮ টাকায়। প্রতি পিস লেবুতেও বেড়েছে ২-৩ টাকা। এ ছাড়াও টমেটো ২০-২৫, ঢেঁড়স ৬০-৬৫, মরিচ ৪০-৪২, পেঁয়াজ ২৮-৩০, গাঁজর ২৫-২৬, করলা ৫০-৫৫, পটোল ৬০-৬৪, মিষ্টি কুমড়া ১০-১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সামান্য লাভে কৃষকরা সন্তুষ্ট থাকলেও সন্তুষ্ট নন সবজির ব্যাপারিরা। প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাওয়া শশা, বেগুনের দাম নিয়ে তারা বলছেন সরবরাহ খরচ প্রতি কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়েছে। ব্যবসায়িদের দাবি, রমজানের শুরুর দিকে কিছুটা চাহিদা বাড়ে তাই দাম খানিকটা বেড়েছে. তবে বাজার দর রমজানের মাঝামাঝিতে কমে যাবে বলে তারা আশা করছেন।
সবজির দাম বেড়ে দ্বিগুণ হলেও কৃষকের ভাগে লাভের অংশ সামান্যই জটে
প্রকাশ : March 24, 20231:51 pm
