আগামী শিক্ষা বছরে ষষ্ঠ শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রমের পরীক্ষামূলক প্রথম চার মাসের পাঠদান শেষ হতে চলেছে। শিক্ষকরা বলছেন, জুন থেকে পরবর্তী ছয় মাসে তাদেরকে বাকি আট মাসের পাঠ্যক্রম শেষ করতে হবে। এটাকেই চ্যালেঞ্জ বলছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া নতুন এই পাঠ্যক্রমের মূল্যায়ন কিভাবে হবে সে বিষয়ে এখনো কোন নির্দেশনা নেই। এদিকে অর্ধেকেরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনও নতুন পাঠ্যসূচির পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরুই করতে পারেনি। অন্যরকম শ্রেণিকক্ষ। গ্রুপভিত্তিক আলোচনা করেই চলছে ক্লাস। ক্লাসরুম নয় বরং ক্লাস পরিবেশ বলছেন শিক্ষকরা। গভমেন্ট ল্যাব স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেনীর শিক্ষার্থীর কাছে শিখন প্রক্রিয়াটা আনন্দের। সারাদেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের ষষ্ঠ শ্রেনীর ৬২ প্রতিষ্ঠানে ২০২৩ সালের নতুন কারিকুলামের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চলছে। প্রথম ধাপে চারমাসের কার্যক্রম শেষ হচ্ছে জুনে। শিক্ষার আনন্দঘন পরিবেশের পাশপাশি আছে চ্যালেঞ্জও। এখনো শিক্ষকরা জানেন না কেমন হবে বছর শেষের মূল্যায়ন? কিংবা চার মাস করে তিন ধাপে পাঠ্যসূচি ভাগ করা হলেও জুন থেকে পরের ছয় মাসের মধ্যে আট মাসের পাঠ্যসূচি শেষ করা কঠিন হবে। সেই সাথে করোনার দুবছরে ঘাটতি আছে শিক্ষার্থীদের। সময় কম থাকলেও ২০২৩ সালে ৬ষ্ঠ শ্রেণির বই নিয়ে সংকট হবে না বলছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক মশিউজ্জামান। আরেক সদস্য প্রফেসর ড এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, মাধ্যমিকে নতুন পাঠ্যসূচির পরীক্ষা মূলক পাঠদান শুরু হলেও প্রাথমিকে শুরু করা যায়নি। আপাতত আগস্টে তা শুরু করার আশা। ২০২৩ সালে প্রথম, দ্বিতীয়, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমের বই দিতে চায় সরকার।
ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে শিক্ষকরা
প্রকাশ : May 28, 20226:41 pm
