শেরপুরের সীমান্তবর্তী তিন উপজেলার লোকালয়ে নিয়মিত নেমে আসছে বন্য হাতির দল। খাদ্যের সন্ধানে হাতির পাল হানা দিচ্ছে বোরো ধানের ক্ষেতে। ক্ষতি করছে ফসল, বাড়ি-ঘর ও গাছপালার। এতে ক্ষেতের বোরো ধান নিয়ে আতঙ্কে দিন পার করছেন স্থানীয় কৃষকরা। বন বিভাগ বলেছে, হাতির খাদ্য সংকট নিরসনে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে কাজ করা হচ্ছে। স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ীর পাহাড়ি এলাকায় বোরো ধান পেকেছে। সেই ধান খেতে বিভিন্ন এলাকায় প্রায় প্রতি রাতেই নামছে হাতির দল। হাতির তাণ্ডবে ক্ষেতের ধান নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটছে চাষির। পাহাড়ি এলাকায় দিন দিন বসতি হওয়ায় সংকুচিত হচ্ছে বন, দেখা দিয়েছে খাদ্যের সংকট। এতে খাদ্যের সন্ধানে হাতির দল নেমে আসছে লোকালয়ে। তবে ময়মনসিংহ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এ.কে.এম রুহুল আমিন জানান, হাতির খাদ্যসংকট মোকাবেলায় পাহাড়ে লাগানো হচ্ছে হাতির প্রিয় খাবার, তৈরি করা হচ্ছে অভয়ারণ্য। পাশাপাশি সচেতন করা হচ্ছে স্থানীয়দের। বন বিভাগের তথ্য মতে, ১৯৯৫ থেকে বন্য হাতির আক্রমণে জেলায় প্রায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক। বিপরীতে নানা কারণে এই সময়ে প্রায় ৩০-৩৫টি বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছে। তবে সম্প্রতি জেলায় প্রথমবারের হাতি হত্যা মামলায় চারজনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
শেরপুরের লোকালয়ে বন্য হাতির হানা
প্রকাশ : May 22, 20227:39 am
