টলিউড অভিনেত্রী এবং পশ্চিমবঙ্গ যুব তৃণমূলের সভাপতি সায়নী ঘোষ গ্রেফতারের একদিন পর জামিন পান। সোমবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে ত্রিপুরার আগরতলা আদালতে তার জামিন আবেদন গৃহীত হয়।
গ্রেপ্তারের পর, পুলিশ আদালতের কাছে সায়নীকে দুই দিনের হেফাজতে রাখার আবেদন করেছিল। কিন্তু শুনানি শেষে আপিল খারিজ করে দেন বিচারক। এরপর আদালত থেকে বেরিয়ে আসেন সায়নী।
আদালত থেকে বেরিয়ে সায়নী বলেন, ‘আদালতের প্রতি বিশ্বাস ছিল। এটা সত্যের জয়। যে পথে লড়াই করেছি, সেই পথেই লড়ব। মিথ্যা মামলা করে দমানো যাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে তো শারীরিকভাবেও হেনস্থা করা হয়েছে। রাতে যেভাবে আক্রমণ করা হয়েছে, তাতে আমি শঙ্কিত হয়ে পড়ি। তারপর আমাকে অন্য একটি পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।’
সায়নীর কথায়, ‘রাতে বোনের সঙ্গে কথা বলেছি। অভিষেক ব্যানার্জি যেভাবে সাহায্য করেছিলেন তা মনে থাকবে। সেই সাথে আমি বলতে চাই, আমাদের দলের কর্মীরাও আমার জন্য সারাক্ষণ লড়াই করেছে। আমরা এক ইঞ্চি জমিও ছাড়ছি না। ‘
সায়নীর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়। রবিবার, পুলিশ জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বৈঠকের আগে সায়নী দ্রুত গতিতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় সায়নীর গাড়ি এক পথচারীকে ধাক্কা দেয়। পুলিশ সায়নীর বিরুদ্ধে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগও আনে। এরপর থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সাইনিকে। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
অন্যদিকে, স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিকের দাবি, “পুলিশকে ব্যবহার করে বিজেপি তৃণমূলকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে।” নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে ইট-পাথর নিক্ষেপ করেছে।