মঙ্গলবার, ০৬ Jun ২০২৩, ০৫:১২ পূর্বাহ্ন
Menu

মামলা না নিয়ে ভাইদের মধ্যকার ২৭ বছরের দ্বন্দ্ব ঘুচালেন ওসি মো. রেজাউল করিম

  নিজস্ব প্রতিবেদক

  প্রকাশ :  May 25, 202210:44 am

টাঙ্গাইলের সখীপুরে জমি নিয়ে ২৭ বছর দ্বন্দ্বের পর সখীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম, ভাইয়েদের মধ্যে আপোষ মীমাংসা করিয়ে দিয়েছেন। উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ডাবাইলপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। মীমাংসা হওয়ার প্রায় ১০ দিন ধরে তারা শান্তিপূর্ণ অবস্থানে বসবাস করছেন বলে জানায় এলাকাবাসী। ওয়াকফকৃত জমির দখল ও ভাগবাটোয়ারা নিয়ে ভাইয়ের মধ্যে মামলা চলে আসছিলো বলে জানায় পরিবার। ১১টি মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার পরেও চলমান আরও ৫টি মামলা তুলে নেয়ার প্রতিশ্রুতিতে ভাই হাদার আলী খান, সীরাজুল ইসলাম খান, আলমগীর হোসে খান ও ছোট ভাই আমিনুল ইসলাম খানের মধ্যে এ আপোষ মীমাংসা হয়। পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানা পরিচালনা ও মহরম মাসের (খিচুড়ি বিতরণ) খরচ করার জন্য ২৮০ শতাংশ জমি ওয়াকফ করে দিয়ে যান স্থানীয় মৃত আয়েত আলী ফকির। সম্প্রতি ওই জমি নিয়ে ভাইদের মধ্যে মারামারি হলে উভয় পক্ষের লোকজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে থানায় মামলা করতে গেলে উভয় পক্ষকে থানায় ডেকে বিস্তারিত অবগত হোন সখীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম। ঈদের কয়েকদিন পর ভাইসহ উভয় পক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে আপোষ মীমাংসা করে দেন তিনি। আপোষ মীমাংসার পর থানা প্রাঙ্গণে ভাইয়েরা দ্বন্দ্ব ভুলে পরস্পরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন। সবকিছু ভুলে গিয়ে এখন থেকে মিলে-মিশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন তারা। সিরাজুল ইসলাম খান বলেন, আমার নানা আয়েত আলী ফকির মারা যাওয়ার পূর্বে সম্পত্তি ওয়াকফ করে দিয়ে যান। আমি সেই ওয়াকফকৃত সম্পত্তির পরিচালনা কমিটির সভাপতি। এই জমি নিয়ে দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে মামলা চলে আসছে। এখনও মামলা চলমান আছে। সখীপুর থানার ওসি রেজাউল করিম স্যার আমাদের ভাইদের ও উভয় পক্ষের লোকজন ডেকে নিয়ে এসে একটা সমাধান করে দিয়েছেন। ওরা মামলা তুলে নিবে। সেই আশ্বাসে সমঝোতার ভিত্তিতেই আছি। থানা পুলিশ তো শুধু মামলা করতে বলে কিন্তু এই ওসি স্যার অন্যরকম। তিনি মামলা না নিয়ে দুই পক্ষকে ডেকে এনে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব মিটিয়ে দিয়েছেন। তাতে আমি ও আমার পরিবার উপকৃত হয়েছি। সখীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, জমিজমা নিয়ে ভাইয়েদের সঙ্গে দীর্ঘদিনের মামলা, হামলার ঘটনায় নতুন করে মামলা না নিয়ে তাদের ডেকে এনে আপোষ মীমাংসা করে দিয়েছি। উভয় পক্ষ মীমাংসা মেনে নিয়ে যেমন আনন্দিত এবং আমিও তেমন আনন্দিত।