রবিবার, ০৪ Jun ২০২৩, ১২:৩২ পূর্বাহ্ন
Menu

মাছ-মাংসের অগ্নিমূল্যে কমে গেছে ক্রেতা, বিপাকে বিক্রেতা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

  প্রকাশ :  March 31, 20232:19 pm

মাছ-মাংসের অগ্নিমূল্যে কমে গেছে ক্রেতা। চাহিদা থাকার পরও অনেক পরিবার গরু খাসির মাংস কেনার সামর্থ্য হারিয়েছেন। তাই, সরকারি উদ্যোগে দাম কমিয়ে আনার কথা বলছেন ক্রেতা বিক্রেতা, উভয়ই, না হলে আমিষের বড় ঘাটতি তৈরি হবে। এদিকে তিনদিনের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম আবার বেড়েছে। খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, বড় ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি মনিটরিংয়ে আনতে হবে মধ্যস্বত্ব ভোগীদেরও। তারা মনে করেন, এসব ফরিয়াদের নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে, কখনই পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি থামানো যাবে না। সরকারি হিসাবে মাছ ও মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ, বাংলাদেশ। তারপরেও এই দেশে এখন অনেক নিম্নবিত্ত মানুষের কাছে অধরা গরু কিংবা খাসির মাংস। মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটে আসা এক ক্রেতার দাবি, আগে প্রতি মাসে দুই থেকে তিন কেজি মাংস নিতেন পরিবারের জন্য। এখন অন্য হিসাব মেলাতে গিয়ে মাংস কেনা হচ্ছে না তার। একই অবস্থা মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোতেও। তারা বলছেন, এখন গরু, খাসি ও মুরগি সব ধরনের মাংসের দাম এক কাতারে দাঁড়িয়েছে, ফলে ‌এখন পরিমাণে আপোষ করতে হয়। মাংস বিক্রেতারা বলছেন, দাম বেড়ে যাওয়ার প্রভাবে তাদের ব্যবসাও এখন মন্দা। কেজি হিসাবে কিনতে না পারা ক্রেতাদের জন্য অনেক বিক্রেতা গ্রামের হিসাবে মাংস বিক্রি করছেন। এই পরিস্থিতিতে দাম কমার দু’দিনের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকায়। খুচরা বিক্রেতারা যথারীতি বলছেন, বড় প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি মধ্যস্বত্ব ভোগীদের মনিটরিংয়ে আনা উচিৎ, কারণ দাম নিয়ে নয় ছয় এসব ফরিয়াদেরই কর্মকাণ্ড। মৌসুম থাকার পরও বাজারে বেড়েছে সব ধরনের মাছের দাম। বিক্রেতাদের অভিযোগ, ইচ্ছা করেই সরবরাহ কমিয়েছে ব্যাপারীরা, এ কারণে মাছের দামও বেড়ে যাচ্ছে। এদিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কমে গেছে সব ধরনের সবজির দাম। রমজানকে কেন্দ্র করে বেড়ে যাওয়া বেগুন শসা কাঁচা মরিচ লেবুর দাম এখন স্বাভাবিক।