মঙ্গলবার, ০৬ Jun ২০২৩, ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন
Menu

মধ্য যুগীয় কায়দায় হাসপাতালের বেড এক ভিক্ষুক ও তার পরিবারের উপর পুলিশি নির্যাতন, ৪ পুলিশ বরখাস্ত, ক্লোজড ২

  নিজস্ব প্রতিবেদক

  প্রকাশ :  May 12, 20223:10 pm

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় মধ্যযগীয় কায়দায় প্রতি পক্ষকে ফাসাতে পুলিশ দিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেডে চিকিৎসাধীন এক ভিক্ষুক ও তার পরিবারের সদস্যদের শারিরিক নির্যাতন এবং টেনে হিঁচড়ে বের করে গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় পুলিশের ৪ এসআইকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া আরও ২ কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ মে) রাতে জামালপুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার মো: নাছির উদ্দীন আহমেদ জানান, একইসাথে তদন্ত সাপেক্ষে সরিষাবাড়ী থানার ওসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জানা গেছে, সরিষাবাড়ী পৌরসভার বাউসি বাজার এলাকার মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে ৬৫ বছর বয়সী ভিক্ষুক আব্দুল জলিল ২০ শতক জমিতে বসতভিটা বানিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন। প্রতিপক্ষ মুজিবুর রহমান সম্প্রতি ওই জমি তাদের দাবি করায় দুইপক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে মামলা হলে আদালত ভিক্ষুক আব্দুল জলিলের পক্ষে ডিক্রি দেয়। কিন্তু আদালতের আদেশ অমান্য করে সোমবার (৯ মে) সকালে প্রতিপক্ষ মুজিবুর রহমান দলবল নিয়ে আব্দুল জলিলের পরিবারের ওপর হামলা চালায়। হামলায় আহত হন আব্দুল জলিল, তার স্ত্রী লাইলী বেগম, বড়ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক, মেজো ছেলে ওয়ায়েজ করোনি, ছোট ছেলে হামদাদুল হকসহ পরিবারের আরেক সদস্য জসিম মিয়া। পরে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলার পর উল্টো মুজিবুর রহমান বাদি হয়ে চিকিৎসাধীন ৪ জনসহ ১৫ জনকে আসামি করে সরিষাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর মঙ্গলবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিক্ষুক আব্দুল জলিলসহ পরিবারের ৪ জনকে হাসপাতালের শয্যায় শারিরিক নির্যাতন ও চ্যাংদোলা করে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পুলিশ সুপার মো: নাছির উদ্দীন আহমেদ জানান, এ ঘটনায় তিনি সরিষাবাড়ী থানার এসআই আলতাব হোসেন, এসআই সাইফুল ইসলাম, এসআই ওয়াজেদ আলী ও এসআই মুন্তাজকে সাময়িক বরখাস্ত এবং কনস্টেবল মোজাম্মেল হক ও নারী কনস্টেবল সাথী আক্তারকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে পাঠিয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে সরিষাবাড়ী থানার ওসি মীর রকিবুল হাসানের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা। আর স্থানীয়রা বলছেন, ভিক্ষুকের বসতভিটা জবর দখল করতে তাকে মারধর ও উল্টো মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।