পুতিনকে নিয়ে মন্তব্য করায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মস্কো। রবিবার (২৭ মার্চ) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পুতিন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন কি না সে বিষয়ে মন্তব্য করা বাইডেনের কাজ নয় বলে জানিয়েছে রাশিয়া।এর আগে পোল্যান্ডের রাজধানীতে বাইডেন বলেছিলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে জড়ানো রাশিয়ার কৌশলগত ভুল ছিল। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া জিতবে না এবং পুতিন ক্ষমতায়ও থাকতে পারবেন না। বাইডেনের এমন মন্তব্যের পরই কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় রুশ প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও কার্যালয় ক্রেমলিন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, পুতিনের ক্ষমতা থাকা বা না থাকা জো বাইডেনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য নয়। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট রুশ নাগরিকদের দ্বারা নির্বাচিত হয়ে থাকেন।
উল্লেখ্য, পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ২০০৮ সাল থেকে আবেদন করে ইউক্রেন। মূলত, এ নিয়েই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। তবে সম্প্রতি ন্যাটো ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় দ্বন্দ্বের তীব্রতা আরও বাড়ে। ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহারে চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো। কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। ঠিক তার দুদিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে। এ দিকে চলমান এই যুদ্ধে ইতোমধ্যে ইউক্রেন ছেড়েছেন প্রায় ৩৯ লাখ মানুষ। যুদ্ধে ইউক্রেনের ১৩শ’ সেনা এবং রাশিয়ার ১৬ হাজার ৪০০ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। তবে রাশিয়া বলছে, যুদ্ধে তাদের এক হাজার ৩৫১ সেনা নিহত এবং ইউক্রেনের আড়াই হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া জাতিসংঘ জানিয়েছে, রুশ অভিযানে ইউক্রেনের এক হাজার ৮০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
সূত্র : আল জাজিরা