রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ০৮:৫০ পূর্বাহ্ন
Menu

বাংলালিংকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের জন্য জেমস-মাইলস ১০ কোটি টাকা দাবি করেছে

  নিজস্ব প্রতিবেদক

  প্রকাশ :  December 7, 20217:55 am

কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মোবাইল অপারেটর বাংলালিংকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের জন্য বাউল ব্যান্ড তারকা মাহফুজ আনাম জেমস এবং মাইলস ব্যান্ডের মানাম আহমেদ ও হামিন আহমেদ ১০ কোটি টাকা দাবি করেছেন। এদিকে জেমসের দায়ের করা মামলায় মোবাইল অপারেটর বাংলালিংকের কর্মকর্তাদের স্থায়ী জামিন দিয়েছেন আদালত।

অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বলেন, আসামিরা ৩০ তারিখ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। তিনি তাদের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন। ওই দিন তারা আদালতে এসে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন।
আসামিপক্ষের অ্যাটর্নিরা জানিয়েছেন, জেমস অ্যান্ড মাইলস আদালতে ৫ কোটি থেকে ১০ কোটি টাকা নিষ্পত্তি চেয়ে চিঠি দিয়েছেন। বৈঠকেও বসবে দুই পক্ষ। তারা সমঝোতার কথা বলছে। ‘
এর আগে সোমবার (৫ ডিসেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েসের আদালতে মামলাটির শুনানির দিন ধার্য ছিল। বাংলালিংকের সিইও এরিক অ্যাস, চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার এম নুরুল আলম, চিফ কর্পোরেট রেগুলেটরি অফিসার তৈমুর রহমান এবং হেড অফ ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিসেস অনিক ধর, যারা অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন, একই দিনে আদালতে হাজির হন। তারা আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।

শুনানিতে তাদের আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, “মামলার বিষয়ে বাদীর সঙ্গে আলোচনা চলছে। তারা আসামিদের কাছে ৫ কোটি ও ১০ কোটি টাকা চেয়ে চিঠিও দিয়েছেন। উভয়পক্ষই বৈঠকে বসবে। আশা করছি, মামলাটি শেষ হবে। কয়েকদিনের মধ্যেই নিষ্পত্তি হয়ে যাবে।এ অবস্থায় আসামিদের স্থায়ী জামিন প্রার্থনা করছি।’
শুনানি শেষে আসামিদের স্থায়ী জামিন দেন আদালত। আগামী ৫ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
প্রসঙ্গত, গত ১০ নভেম্বর বাংলালিংকের ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কপিরাইট আইনে জেমস ও মাইলস ব্যান্ডের মান্নাম আহমেদ ও হামিন আহমেদ পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় মান্নাম আহমেদ ও হামিন আহমেদ অভিযোগ করেন, তাদের লেখা ও সুর করা ‘নীলা’ ও ‘ফিরিয়ে দাও’ গান দুটি আসামিরা বাংলালিংক অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করে গ্রাহকদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আয় করে আসছে। এতে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

অন্যদিকে জেমসও তার গাওয়া ‘দুখিনি দুঃখ করোনা’, ‘জিকির’, ‘লুটপাট’, ‘সুম্মিতা’, ও যার যার ধর্ম গান সম্পর্কেও একই ধরনের অভিযোগ করেন।