পিরোজপুরের নাজিরপুরে শ্রেণিকক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে এক মাদ্রাসাশিক্ষককে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার দীর্ঘা ইউনিয়নের লেবুজিলবুনিয়া গ্রামের লেবুজিলবুনিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় তারা হামলাকারীদের বহন করা একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। মারধরের শিকার মো. বদিউজ্জামান ওই মাদ্রাসার আরবী বিভাগের শিক্ষক। আর হামলাকারীরা ওই ইউনিয়নের ঝিলবুনিয়া গ্রামের শরিফুল ইসলাম ও তার ছোটভাই সেনা সদস্য রফিকুল ইসলাম। হামলায় আহত শিক্ষক ও প্রত্যক্ষদর্শী ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জানান, ওই শিক্ষক শ্রেণি কক্ষে ক্লাশ নিচ্ছিলেন। এ সময় শরিফুল ও তার ভাই সেনা সদস্য রফিকুল তাকে ক্লাশ থেকে ডেকে নিয়ে মারধর করেন। সেনা সদস্য রফিকুল পটুয়াখালীর লেবুখালী সেনা ক্যাম্পে কর্মরত। অভিযোগ অস্বীকার করেন সেনা সদস্য রফিকুল। তবে তার বড় ভাই মো. শরিফুল ইসলাম জানান, ওই শিক্ষক তার বিধবা বোনকে মুঠোফোনে উত্যক্ত করায় তাকে বিষয়টি নিয়ে একটি ধাক্কা দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে বৈঠাকাটা ফাঁড়ি পুলিশের ইন্সেপেক্টর মো. আউয়াল জানান, খবর শুনে সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আশুতোষ বেপারী মিমাংসার উদ্যোগ নিয়েছেন। তার পরও কোনো অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউপি চেয়ারম্যান আশুতোষ জানান, নারী ঘটিত একটি বিষয় নিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। তাই উভয়ের সম্মানের কথা চিন্তা করে বিষয়টি মিমাংসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে ওই সেনা সদস্যকে শিক্ষকের পা ধরে মাফ চাওয়ানো হয়েছে। ওই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাবেক শিক্ষক মো. মোজাম্মেল হোসেন জানান, শিক্ষক বদিউজ্জামানেরও অপরাধ রয়েছে। তাই পুলিশের উপস্থিতিতে ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসা করে দেওয়া হয়েছে। নাজিরপুর থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির জানান, বিষয়টি শুনে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। শুনেছি স্থানীয়ভাবে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিটমাট করে দেওয়া হয়েছে। নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ আল সাদীদ জানান, শিক্ষককে মারধরের খবর শুনে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পরে কী হয়েছে তা জানি না।
পিরোজপুরের নাজিরপুরে শ্রেণিকক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে শিক্ষককে মারধর
প্রকাশ : April 20, 20223:47 pm
