রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন
Menu

নেপালকে ২ গোলে হারিয়ে বাংলাদেশের জয়

  নিজস্ব প্রতিবেদক

  প্রকাশ :  March 17, 20227:37 pm

অনূর্ধ্ব-১৮ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালকে ৪-২ গোলে হারিয়ে শুভসূচনা করেছে টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। অথচ বড় জয়ের পরও প্রশ্ন তোলা যায়, গোল ব্যবধান কম হয়ে গেল কি না? কারণ, নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক ভারতের কাছে ৭-০ গোলে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল নেপাল।

মঙ্গলবার টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে যে দল গোলবন্যায় ভেসে গিয়েছিল, তারা বাংলাদেশের সঙ্গেও পেরে উঠবে না, তা অনুমেয় ছিল। পারেনওনি নেপালের মেয়েরা। তবে বাংলাদেশের কাছে হারলেও নিজেদের উন্নতিটা দেখাতে পেরেছেন হিমালয়–কন্যারা।

জামসেদপুর টাটা স্পোর্টস কমপ্লেক্স স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে স্কোরলাইন ৪-২। বড় ব্যবধানে জয়-পরাজয়ের ম্যাচের কাটাছেঁড়া বিশ্লেষণের প্রয়োজন পড়ে না। পুরো ম্যাচেই ছিল গোলাম রব্বানীর মেয়েদের দাপট। দলীয় শক্তিতে তো বটেই, ব্যক্তিগত নৈপুণ্যেও শাহেদা আক্তার, আকলিমা খাতুনরা অনেক এগিয়ে।

প্রথমার্ধ ৪-১ গোলে শেষ করল বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে স্কোরলাইনে সেই দাপটটা আর দেখা গেল না। উল্টো ম্যাচের শেষের দিকে গোল খেয়েছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের মেয়েদের খেলা দেখে মন ভরার কথা নয়। খেলার কৌশলই সে সম্ভাবনা জাগায়নি। ৫-৩-২ ফরমেশনে খেলে, নিচ থেকে বাতাসে লম্বা পাসে খেলে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ ভাঙার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ। দুই উইংব্যাক শাহেদা আক্তার ও ইতি খাতুন আক্রমণ গড়া নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। একের পর এক আক্রমণ ছিল, সে আক্রমণ এমন ক্রসনির্ভর হওয়ায় তা দৃষ্টিসুখকর হয়নি।

খেলাটি উপভোগ করতে টাটা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁরা ঠিকঠাক আসনে বসার আগেই বাংলাদেশের গোল। ৪৪ সেকেন্ডেই সেন্টারব্যাক আফিদা খন্দকারের গোলে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া। স্বপ্না রানির কর্নারে বক্সের মধ্য থেকে হেডে গোলটি করেন আফিদা।

এর পর নেপাল দলের ওপর চেপে বসেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু গোলের দেখা মেলেনি, উল্টো ৩০ মিনিটে দুর্দান্ত গোল করে নেপালকে সমতায় ফেরান দিপা শাহী। প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে দূরপাল্লার শটে গোলটি করেছেন দিপা। এ গোলের দায় এড়াতে পারবেন না বাংলাদেশের গোলকিপার রুপনা চাকমা।

সমতা ফিরিয়ে নেপাল যেন মৌমাছির চাকে ঢিল মারল! ১০ মিনিটের ব্যবধানে বাংলাদেশের ৩ গোল। ৩৩ মিনিটে ২-১ করেছেন আকলিমা খাতুন। নেপাল গোলকিপার গোল কিক নিলে সেটি বিপদমুক্ত করেন বাংলাদেশের ডিফেন্ডার। সে বল গিয়ে পড়ে আকলিমা খাতুনের অনুকূলে। গতিতে বক্সে ঢুকে প্লেসিংয়ে ২-১ করেছেন আকলিমা।

পরের মিনিটেই দূরপাল্লার শটে ইতির দুর্দান্ত গোল। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে গোলটি করেছেন তিনি। বিরতিতে যাওয়ার আগে জটলা থেকে গোল করে ৪-১ করেছেন শাহেদা আক্তার।

প্রথমার্ধে ৪-১ গোলে এগিয়ে যাওয়া দলটিই দ্বিতীয়ার্ধে আর গোলের সংখ্যা বাড়াতে পারল না। উল্টো শেষ বাঁশি বাজার আগে গোল খায় বাংলাদেশ। যোগ করা সময়ে ৪-২ করেছেন আমিশা। তবে শেষ হাসিটা বাংলাদেশেরই থাকল।

তিন দলের টুর্নামেন্টটি ডাবল লিগ পদ্ধতির। প্রতিটি দল একে অপরের বিপক্ষে ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ পয়েন্ট অর্জনকারী দলটি হবে চ্যাম্পিয়ন। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইটি যে বাংলাদেশ ও ভারতের জন্য বরাদ্দ, তা আজকের পর বলাই যায়।