মঙ্গলবার, ০৬ Jun ২০২৩, ০৬:৪১ পূর্বাহ্ন
Menu

ডিবি অফিসে যাওয়ার কারন জানালেন ইমন

  নিজস্ব প্রতিবেদক

  প্রকাশ :  December 7, 20218:10 am

অভিনেত্রী মাহিয়া মাহিকে কেন্দ্র করে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের সঙ্গে অডিও প্রকাশ নিয়ে ভুল–বোঝাবুঝির অবসানের জন্য আইনি পরামর্শ নিতে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে গিয়েছিলেন অভিনেতা মামনুন ইমন।
তিনি জানান, অডিও প্রকাশের পর অসহায়ত্ব বোধ করছিলেন। চলচ্চিত্রের সহকর্মীরাও তাঁকে ভুল বুঝতে থাকেন। অথচ ইমনের দাবি, ফোনালাপ দু–তিনবার শুনলে বোঝা যাবে তিনি মন্ত্রীকে ওই পরিস্থিতিতে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।

এত কিছুর পরও যখন ভুল–বোঝাবুঝির অবসান হচ্ছিল না, বাধ্য হয়ে আইনি পরামর্শ নিতে গতকাল সোমবার রাতে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে যান তিনি।
গতকাল রাত আটটার দিকে ইমন ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে দেখা করেন। আজ মঙ্গলবার সকালে প্রথম আলোকে খবরটি নিশ্চিত করেন ইমন।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর একটি কল রেকর্ড ফেসবুকে ফাঁস হওয়ার পর গত রোববার রাতে ডিবি কার্যালয়ে যান ইমন। তিনি বলেন, ডিবি অফিস তাকে তলব করেনি। তিনি বলেন, “হারুন ভাই আমার পূর্ব পরিচিত।

তার সঙ্গে এর আগেও বহুবার দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে। গতকাল মন্ত্রীর সঙ্গে কল রেকর্ড ফাঁস হলে সারাদিন এ নিয়ে কথা বলতে হয়েছে। যদিও আমি আমার অবস্থান পরিষ্কার করেছি সকলের কাছে। আমার সহকর্মীরা আমাকে ভুল বুঝেছেন। এমনকি কেউ কেউ আবার আমাকে ইশারা করে ফেসবুকে পোস্ট করে।
এই সব আমাকে বিব্রত এবং আঘাত করেছে। ফেসবুকে অনেকে আবার আমার সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বলার চেষ্টা করেছে। আমি বিরক্ত, তাই আমি গিয়েছিলাম রাতে তার অফিসে হারুন ভাইয়ের সাথে কথা বলার জন্য। আমি তাকে আমার অবস্থান পরিষ্কার করি। তারপর এসব বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ চাই। তিনিও আমাকে সেই পরামর্শ দেন। তারপর আমি চা খেয়ে চলে যাই।’

কথায় কথায় ইমন এও জানান, ‘এটা কিন্তু একদম পরিষ্কার, আমি এই ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবে জড়িত নই। রাতে যখন মাহি একটি ভিডিওবার্তা দেয়, বিষয়টি আরও পরিষ্কার হয়। আমিও কিন্তু গতকাল সকাল থেকেই সবাইকে বলছি, একজন মন্ত্রী যখন আমাকে ফোন করে এসব কথা বলছেন, আমি শুধু সামাল দিতে ওসব বলেছি। দ্যাটস ইট।’

এদিকে গতকাল রাতে প্রথম আলোকে ইমন বলেন, মাহির সঙ্গে মুরাদ হাসান যে ভাষায় কথা বলেছেন, তা তিনি জানতেনই না। মন্ত্রী যখন বিভিন্ন সংস্থার নাম বলে মাহিকে ভয় দেখিয়েছিলেন, সেটি নিছক দুষ্টামি মনে করেছিলেন বলে জানান ইমন। তিনি বলেন, ‘তাই তো আমি মন্ত্রীকে বলেছি, এসব কিছু লাগবে না, আমি দেখছি। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কথা ভেবেই বলেছি কিন্তু।
আমি বিষয়টাকে স্বাভাবিকভাবে নিয়ে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছি শুধু। এরপর কিন্তু আমরা মিটিং করি, মন্ত্রীর ডাকে সেখানে যাইনি। মাহি বলল, বাসায় চলে যাব, আমিও বাসায় চলে গেছি।’
সে সময় মাহির সঙ্গে কী হয়েছিল তা তিনি না জানলেও ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর বিস্মিত ও বিব্রত হন ইমন। বললেন, ‘আমি বিব্রত, খুব খারাপ লাগছে। একজন সহকর্মী, একজন নারীকে, একজন মন্ত্রীর এভাবে ডাকা দুঃখজনক। এমন ঘটনা ঘটবে বুঝতে পারলে ফোন দিতাম না। একজন মন্ত্রী ও একজন প্রতিমন্ত্রীর কাছে আমাদের অনেক দাবি আছে। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আমাদের অনেক কাজের জন্য তাদের প্রয়োজন, কিন্তু আমি এই ধরনের ভাষা আশা করি না। ‘