মঙ্গলবার, ০৬ Jun ২০২৩, ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন
Menu

জেএমবির মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে নওগাঁয় থেকে গ্রেফতার

  নিজস্ব প্রতিবেদক

  প্রকাশ :  April 17, 20223:36 pm

নাম পরিবর্তন করে ১০ বছর আত্মগোপন করেও রক্ষা পেলেন না নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ জেএমবির ইসাবা (সামরিক) শাখার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সানোয়ার হোসেন ওরফে আব্দুর রউফ (৪৪)। 

শনিবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা রাতে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার ছোট চাঁদপুর গ্রাম থেকে এন্টি টেররিজম ইউনিট এর একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত সানোয়ার হোসেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল থানার চাঁদপাড়া গ্রামের এরশাদ আলীর ছেলে। ছোট চাঁদপুর গ্রামে সানোয়ার হোসেন ওরফে আব্দুর রউফ নামটি পরিবর্তন করে আব্দুল্লাহ নামে আত্মগোপন করে ছিলেন এবং তিনি রাজমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি ভেড়া লালন পালন করতেন। তিনি গত ১০ বছর ধরে আত্মগোপন করে ছিলেন বলে জানিয়েছের এন্টি টেররিজম ইউনিটএর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আখিউল ইসলাম। রবিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁ পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এই সব তথ্য তুলে ধরেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আখিউল ইসলাম জানান, জেএমবির আন্ত:কলহের জের ধরে সে সময়ের স্ব-ঘোষিত আমির সালমানকে কৌশলে ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল থানার খুশকি বোরিয়া আম বাগানে ডেকে নেন। এরপর সানোয়ার ও তার সহযোগীরা সালমানকে মাথা থেকে দেহ বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করে। এ মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামি আব্দুস শাকুর ও জাহাঙ্গীরের দেয়া তথ্য মতে পুলিশ মহান্দা নদীর তীর থেকে পুতে রাখা সালমানের মাথা উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নাচোল থানায় দায়েরকৃত হত্যা মামলায় গত ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর সানোয়ারসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালত। গ্রেফতারকৃত সানোয়ার হোসেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলার বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে থেকে জেএমবিকে সক্রিয় করার কাজে লিপ্ত ছিলেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল থানার সন্ত্রাস বিরোধী (মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত) ছাড়াও আর দুটি গ্রেফতারি পরোয়ানা মুলতবি আছে বলেও জানান এন্টি টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আখিউল ইসলাম। এ সময় তার সাথে নওগাঁ পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।