রবিবার, ০৪ Jun ২০২৩, ০৬:১৪ পূর্বাহ্ন
Menu

কেকে বিতর্কে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন রূপঙ্কর

  নিজস্ব প্রতিবেদক

  প্রকাশ :  June 4, 20226:18 am

ভারতের নন্দিত সঙ্গীত শিল্পী কেকে’র (কৃষ্ণকুমার কন্নাথ) মৃত্যুতে কলকাতার আরেক জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী রূপঙ্কর বাগচির করা মন্তব্যে গত কয়েকদিন ধরেই সরগরম সোস্যাল মিডিয়া। এমন বিতর্কের অবসানে শুক্রবার সাংবাদিকদের সামনে মুখ খুললেন রূপঙ্কর বাগচি। প্রথমে বেছে বেছে কয়েকজন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছা থাকলেও পরে সিদ্ধান্ত বদল করেন রূপঙ্কর দম্পতি। তারা সিদ্ধান্ত নেন প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন। শুক্রবার (৩ জুন) বিকেল পাঁচটায় সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বললেন, আমার যে ভিডিও গত ক’দিন ধরে ভাইরাল হয়েছে, এখানে আসার ঠিক আগে আমি তা মুছে দিলাম। কেকে যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন। ব্যক্তিগতভাবে তার ওপর আমার কোনো বিদ্বেষ নেই। আমার সঙ্গে কেকে’র পরিবারের কোনো যোগাযোগ নেই। তাই আমি সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমেই তার পরিবারকে সমবেদনা জানাচ্ছি। তিনি দাবি করেন, ‘গুছিয়ে ঠিক বক্তব্য বলতে না পারায় এতো বিতর্ক’।রূপঙ্কর আরও বলেন, কেকে’র প্রতি আমার কোনো বিদ্বেষ নেই। ফেসবুক লাইভের বক্তব্যে একার কথা বলতে চাইনি। বেশ কয়েকজন ট্যালেন্টের কথা বলতে চেয়েছিলাম। তবে, তাদের কারো অনুমতি না নিয়ে বলেছিলাম বলে দুঃখিত। গায়ক হিসেবে আমার কোনো হতাশা নেই। কিন্তু বাঙালি সঙ্গীতশিল্পীদের নিয়ে জাতিগতভাবে আমি চিন্তা করি। কেকে’র নাম তুলে আনা একটি রূপক মাত্র। কেকে জানত কেকে’র জন্য চরম পরিণতি ওত পেতে রয়েছে! লিখিত বক্তব্য পাঠ শেষেই প্রেসক্লাব ছেড়ে বেরিয়ে যান রূপঙ্কর। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে রূপঙ্কর কোনো প্রশ্ন নেননি। লিখিত বিবৃতিটি পাঠ করে তিনি চেয়ার ছেড়ে উঠে হাতজোড় করে বলেন, আজ তিনি কোনো প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন না। পরে কোথাও, অন্য কোনও দিনে প্রশ্নের জবাব দিবেন। এদিন সঙ্গীতশিল্পীর সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী-ও। রূপঙ্কর বেরিয়ে যাওয়ার পরে তিনি সাংবাদিকদের হাতে বক্তব্যের কপি তুলে দেন। প্রসঙ্গত, রূপঙ্করের লিখিত  বিবৃতিতে তিনি কোথাও তার ফেসবুকে কেকে’কে নিয়ে বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাননি। ঐ বক্তব্য ‘ভুল’ ছিল, এমনও বলেননি। রূপঙ্করের বিবৃতিতে ছিল মূলত তার সঙ্গীতজীবনে ‘নজিরবিহীন বিভীষিকা’র কথা। মঙ্গলবার (৩১ মে) রাতে কলকাতার নজরুল মঞ্চে উল্টোডাঙার গুরুদাস মহাবিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে অসুস্থ হয়ে পড়েন কেকে।  এরপর হোটেলে ফিরে যান তিনি। সেখানে আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে আলিপুরের সিএমআরআই বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। হাসপাতালে নেয়ার পর তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।বাংলা, হিন্দি, তামিল, কন্নড়, মালয়ালাম, মারাঠি, অসমীয়া ভাষায় গান গেয়েছেন তিনি। বিগত তিন দশকে শ্রোতাদের অসংখ্য হিট গান উপহার দিয়েছেন ‘দ্য ভয়েস অব লাভ’ খ্যাত এই শিল্পী।