বগুড়ার ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের তিনজন অফিস সহকারীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে কামরুল ইসলাম নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। রবিবার বিকেল ৫টার দিকে ধুনট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকনের সরকারি বাসভবনে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক। এ বিষয়ে ইউএনও’র অফিস সহকারী বাবুল ইসলাম বলেন, রবিবার বিকেলে আমিসহ আরেক সহকারী খোরশেদ আলম ও উপজেলা পরিষদের পিয়ন বক্কার দাপ্তরিক কাজের ফাইল নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকনের সরকারি বাসভবনে যাই। এরপর বক্কার ফাইল নিয়ে দোতলায় চেয়ারম্যানের কক্ষে পৌঁছালে তিনি কোনো স্বাক্ষর না করে তাকে অপমাণ করে বের করে দেন। তখন আমরা সিঁড়ি দিয়ে নীচে নামতে গেলে কামরুল নামে এক ব্যক্তি ঘরের দরজা বন্ধ করে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং লাঞ্ছিত করে। ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, গত ৩১ মার্চ উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকন তার সম্মানী ভাতা, উৎসব ভাতা ও সরকারি গাড়ির জ্বালানির খরচের ব্যাংক চেকে স্বাক্ষর করতে বলেন। কিন্তু মাস শেষ না হলে ভাতা দেওয়ার নিয়ম না থাকায় সেইদিন স্বাক্ষর করা সম্ভব হয়নি। পরদিন সরকারি ছুটি থাকায় ৩ এপ্রিল ব্যাংক চেকে স্বাক্ষর করে দাপ্তরিক অন্যান্য ফাইলসহ এক পিয়ন ও দুই অফিস সহকারী দিয়ে তার বাসভবনে পাঠানো হয়। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান সরকারি কোনো ফাইলে স্বাক্ষর না করে তাদের বের করে দেন। এরপর চেয়ারম্যানের সঙ্গে থাকা কামরুল নামে এক ব্যক্তি আমার অফিস সহকারীদের ঘরের দরজা বন্ধ করে লাঞ্ছিত করে। এ বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাদের কোনো লাঞ্ছিত করা হয়নি। শুধুমাত্র কথা কাটাকাটি হয়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যানের সম্মানী ভাতা, উৎসব ভাতা ও সরকারি গাড়ির জ্বালানির খরচের ব্যাংক চেকে স্বাক্ষর না করায়, ইউএনও’র ৩ অফিস সহকারী লাঞ্ছিত
প্রকাশ : April 4, 20223:16 pm
