রবিবার, ০৪ Jun ২০২৩, ১২:২৮ পূর্বাহ্ন
Menu

আজ ৬ এপ্রিল, মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের জন্মদিন

  নিজস্ব প্রতিবেদক

  প্রকাশ :  April 6, 20233:35 pm

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়িকা সুচিত্রা সেনের ৯২তম জন্মদিন আজ। রূপালী পর্দায় উত্তম-সুচিত্রা সেন জুটি এখনো দর্শকপ্রিয়। জন্মসূত্রে তিনি বাংলাদেশি। ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল পাবনা শহরের হেমসাগর লেনের বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন এ অভিনেত্রী। বাংলার এই মহানায়িকার জন্মদিনকে স্মরণে রেখে সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের পক্ষ থেকে পাবনায় তার নিজ পৈতৃক বাড়িতে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। নায়িকা হওয়ার আগে সুচিত্রা সেনের নাম ছিলো রমা দাশগুপ্ত। তার বাবার নাম করুণাময় দাশগুপ্ত ছিলেন স্থানীয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক। ১৯৪৭ সালে বর্ধিষ্ণু শিল্পপতি পরিবারের সন্তান দিবানাথ সেনকে বিয়ের সূত্রে কলকাতায় আসেন পাবনার রমা। বিয়ের পরে ১৯৫২ সালে ‘শেষ কথায়’ রূপালি পর্দায় নায়িকার ভূমিকায় প্রথম আত্মপ্রকাশ করেন। নায়িকা হয়ে পাবনার রমার নাম বদলে সুচিত্রা রাখা হয় । পরে তার হাত ধরেই বদলে যায় বাংলা চলচ্চিত্রের নায়িকার সংজ্ঞা। ‘সাত নম্বর কয়েদী’ ছবিতে অভিনয় করার পর সুচিত্রা সেন পিনাকী মুখার্জি পরিচালিত ‘সংকেত’ ছবিতে অভিনয় করেন। তখনও তিনি ‘সুচিত্রা সেন’ নাম ধারণ করেননি। সে নাম আসে এর পরের ছবি অর্থাৎ নীরেন লাহিড়ীর ‘কাজরী’ ছবির মাধ্যমে ১৯৫২ সালে। সুচিত্রা সিনেমা করতে এসে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হন উত্তম কুমারের জুটি হিসেবে। উত্তম-সুচিত্রা শব্দটি ছিলো তখনকার চলচ্চিত্রের আশীর্বাদ। কখনো প্রেম যুগল, কখনো দাম্পত্য জীবনের গল্পে তারা হয়ে উঠেছিলেন অনবদ্য। সুচিত্রা অভিনীত শেষ ছবি ‘প্রণয় পাশা’ মুক্তি পায় ১৯৭৮ সালে। ঐ বছরই তিনি সুদীর্ঘ ২৫ বছর অভিনয়ের পর চলচ্চিত্র অঙ্গন থেকে চিরতরে অবসরগ্রহণ করেন এবং রামকৃষ্ণ মিশনের সেবায় ব্রতী হন। এই বাঙালি নায়িকার হঠাৎ নীরবতা সম্পর্কে বলা হয়, উত্তমকুমারের মৃত্যুর পরই প্রিয় মানুষটিকে হারানোর অভিমানে চলচ্চিত্র ত্যাগ করেন তিনি। জানা যায়, তার নায়ক উত্তম কুমার ১৯৮০ সালের ২৪ জুলাই মারা গেলে সেই রাতে এসেছিলেন একখানি মালা হাতে নিয়ে। মহানায়কের দেহের ওপর মালা রেখে সুচিত্রা সেন ফিরে যান কলকাতার বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের বাড়িতে, তারপর তিনি মিডিয়ার সঙ্গে আর কথা বললেনি। এমনকি ২০০৫ সালে দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার নিতেও যাননি তিনি। ২০১২ সালে বঙ্গ বিভূষণ পুরস্কার পান। তার হয়ে কন্যা বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের একটি আসনের সাংসদ ও টালিগঞ্জের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মুনমুন সেন এই পুরস্কার গ্রহণ করেন। সুচিত্রা ছিলেন এক কন্যার জননী। সেই কন্যা মুনমুনও একজন গুণী অভিনেত্রী। সুচিত্রার দুই নাতনী রিয়া ও রাইমা সেনও নানীর মতোই অভিনয়কেই ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছেন। সাত বছর ধরে সুচিত্রা সেন নেই। ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান কিংবদন্তি এই অভিনেত্রী।