মঙ্গলবার, ০৬ Jun ২০২৩, ০৬:৫২ পূর্বাহ্ন
Menu

অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ বাড়াচ্ছে পেটের নানা ধরনের জটিলতা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

  প্রকাশ :  May 22, 20221:53 pm

চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কিংবা অনিয়মিত মাত্রায় প্রোটন-পাম্প ইনহিবেটর (পিপিআই) বা  গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাবার ফলে ৪৫ শতাংশ গ্যাস্ট্রিক আলসার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ। রোববার সকালে বিএসএমএমইউ এর মিলনায়তনে ‘ওভারইউজ অফ পিপিআই: এ রিভিউ অফ ইমার্জিং কনসার্ন’ শীর্ষক সেমিনারে একথা বলেন তিনি। উপাচার্য বলেন, প্রোটন-পাম্প ইনহিবিটর- পিপিই হচ্ছে এমন ধরনের ওষুধ যার প্রধান কাজ হলো পাকস্থলীর প্যারাইটাল কোষ থেকে এসিড নিঃসরণ কমানো। অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাবার ফলে মানবদেহের প্রাকৃতিক মাইক্রো নিউক্রিয়েন্ট হারিয়ে হচ্ছে। যার ফলে দেহের অভ্যন্তরে ক্ষত সৃষ্টি হচ্ছে। অতিরিক্ত পিপিআই ব্যবহারের ফলে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, বিটামিন -১২ এবং আয়রন গুণাগুণ হারাচ্ছে। তবে এসব রোগের কারণে হঠাৎ করে পিপিআই বন্ধ করা যাবে না বলেও উল্লেখ করেন, তিনি বলেন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পিপিআই ক্রমে দুই সপ্তাহ, এক সপ্তাহ করে ব্যবহার কমিয়ে দিতে হয়ে। পাশাপাশি জীবন যাপনের নিয়মানুবর্তিতা অনুসরণ করেও এসিডিটি বা অম্লের সমস্যার সমাধান করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যাস্ট্রোঅ্যান্টারোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. রাজীবুল  আলম বলেন, গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের বড় অংশ ওষুধ বিক্রি হচ্ছে ব্যবস্থাপনাপত্র ছাড়া। রোগীর একটু পাতলা পায়খানা, মাথাব্যথা, পিঠে ব্যথাসহ  নানা জটিলতা দেখা দিলে ফার্মেসি দোকানীরা গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ দিচ্ছেন। অথচ এই ক্ষেত্রে পরিমাণমত পানি পান করে বা হালকা কিছু ওষুধ ব্যবহার করলে এই সমস্যা সমাধান করা যেত বলে উল্লেখ করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবস্থাপনাপত্র ও চিকিৎসক পরামর্শ  ছাড়া গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাবার কারণে গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার, স্মৃতিভ্রমের মত জটিল হতে পারে এমনকি ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম কমে আসতে পারে বলে জানান এই চিকিৎসক। সেমিনারে বক্তারা বলেন, রোগীর প্রয়োজন পড়লে অবশ্যই এ ধরনের ওষুধ ব্যবস্থাপনা লিখতে হবে কিন্তু অপ্রয়োজনীয় অতিমাত্রায় এর ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে। যত্রতত্র এবং অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ ব্যবহার কমাতে নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানান এই বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ বিক্রি বন্ধ করতে হবে। সেমিনারে এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররাফ হোসেন এবং উপ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ জাহিদ হোসেন।